पोस्ट विवरण
পশুর দুধ জ্বর রোগের কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা

দুধ জ্বর রোগ দুধ জ্বর এবং দুধ জ্বর নামেও পরিচিত। এই রোগটি প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক প্রমাণিত হয়। প্রসবের ২ থেকে days দিনের মধ্যে গরু ও মহিষের মধ্যে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। গরু ছাড়াও, মহিষ, ভেড়া এবং ছাগলও এই রোগে আক্রান্ত। যদি সময়মতো পশুর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে পশুর পেশী অবশ হয়ে যেতে পারে। আসুন আমরা প্রাণীদের এই মারাত্মক রোগের কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিরোধের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাই।
পশুদের দুধ জ্বরের রোগের কারণ
-
রক্তে ক্যালসিয়ামের অভাবে এই রোগ হয়।
-
কলোস্ট্রামে রক্তের চেয়ে 12-13 গুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। প্রসবের পরে, কোলস্ট্রামের সাথে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম বের হয়।
-
প্রসবের পর হঠাৎ করে কোলোস্ট্রাম নি releaseসরণ হলে শরীর হাড় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্যালসিয়াম পায় না।
-
প্রসবের পর পশুর সুষম খাদ্যের অভাবের কারণেও এই রোগ হয়।
-
পশুখাদ্যের পরিমাণ এবং গুণমান হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণে এই রোগের লক্ষণও দেখা দিতে শুরু করে।
দুধ জ্বরের পর্যায়
পশুদের দুধ জ্বর রোগ তিনটি পর্যায়ে ঘটে।
দুধ জ্বরের প্রথম পর্যায়
-
এই পর্যায়ে পশু প্রসবের আগে উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
-
প্রাণীরা টিটেনাসের বর্ধিত সংবেদনশীলতা, উত্তেজনা এবং লক্ষণ দেখায়।
-
প্রাণীরা খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়।
-
প্রথম পর্যায়ে, প্রাণীরা তাদের জিহ্বা বের করে রাখে।
-
পশুর দাঁত কামড়াতে শুরু করে।
-
আক্রান্ত পশুর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি হয়ে যায়।
-
প্রাণীর দেহ এবং পিছনের পায়ে শক্ততার সমস্যা শুরু হয়।
-
আংশিক পক্ষাঘাতের কারণে প্রাণী পড়ে যায়।
দুধ জ্বরের দ্বিতীয় পর্যায়
-
দ্বিতীয় পর্যায়ে, প্রাণীরা ঘাড় বাঁকিয়ে বসে।
-
পশুর উঠতে ও দাঁড়াতে অসুবিধা হয়।
-
পশুর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে চলে যায়।
-
আক্রান্ত প্রাণীর পা ও শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।
-
চোখের ছাত্র প্রসারিত হয় এবং চোখ ফুলে যায়।
-
পশুর চোখের পলক বন্ধ।
-
এই পর্যায়ে, পেট ধীর হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়।
-
পশুর পেশীতে শিথিলতা রয়েছে।
-
প্রাণীদের হৃদস্পন্দন ধীর হয়ে যায় এবং হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে 60 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
-
পশুর রক্তচাপ কমে যায়।
দুধ জ্বর রোগের তৃতীয় পর্যায়
-
তৃতীয় পর্যায়ে, প্রাণীরা বেশিরভাগ সময় মেঝেতে শুয়ে থাকে।
-
প্রাণীরা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে যায়।
-
প্রাণীদের শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।
-
এই পর্যায়ে প্রাণীর হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে 120 পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
-
পশুর হৃদয়ের শব্দ শোনা যায় না।
-
তৃতীয় পর্যায়ে পশুর পেশিতে পক্ষাঘাত হয়।
-
দীর্ঘ সময় বসে থাকা পশুর কুষ্ঠ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
দুধ জ্বর রোগ থেকে পশুদের রক্ষা করার ব্যবস্থা
-
প্রসবের 3 মাস আগে থেকে পশুর খাদ্যতালিকায় আরও ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস অন্তর্ভুক্ত করুন।
-
পশুর খাদ্যতালিকায় শুকনো ঘাস এবং চারা অন্তর্ভুক্ত করুন।
-
প্রসবের পর, প্রাণীদের একটি সুষম খাদ্য দিন।
-
যদি এই রোগের লক্ষণ দেখা যায়, অবিলম্বে একজন পশুচিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন:
-
প্রাণীদের স্ট্রেপ গলা প্রতিরোধের লক্ষণ ও পদ্ধতি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আমরা আশা করি এই তথ্যটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে। আপনি যদি এই পোস্টে দেওয়া তথ্য পছন্দ করেন, তাহলে আমাদের পোস্টটি লাইক করুন এবং অন্যান্য কৃষক এবং পশু মালিকদের সাথেও শেয়ার করুন। যাতে অধিক সংখ্যক কৃষক এবং পশুপালক মালিকরা এই তথ্যের সুযোগ নিতে পারে এবং প্রাণীদের এই মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচাতে পারে। কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের এই সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।
Pramod
Dehaat Expert
1 लाइक
21 September 2021
जारी रखने के लिए कृपया लॉगिन करें


फसल चिकित्सक से मुफ़्त सलाह पाएँ