ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। গ্রামে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির এই যুগে অনেক সময় কৃষকরা শুধু চাষ করেই প্রত্যাশিত আয় পেতে পারছেন না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, অধিক লাভের জন্য কৃষিকাজের পাশাপাশি পশুপালন একটি ভাল বিকল্প। কৃষকরা যারা কৃষিকাজের পাশাপাশি পশুপালন করেন তারা সারা বছর ভাল মুনাফা পাওয়ার সময় সহজেই তাদের আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। আসুন আমরা চাষের পাশাপাশি পশুপালনের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাই।

কৃষির পাশাপাশি পশুপালনের সুবিধা

• পশুর গোবর এবং মূত্র মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। কৃষকরা ক্ষেতে ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের পরিবর্তে গোবর সার ব্যবহার করতে পারেন।

• এটি ফলন বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের খরচ কমায়।

• পশুর সাহায্যেও চাষ করা যায়। কৃষকরা পশুপালনের মাধ্যমে দুগ্ধ খামার এবং পোল্ট্রি খামার ব্যবসাও শুরু করতে পারেন।

• জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং ভালো ফলন পেতে কৃষকদের প্রয়োজন গোবর সার। এমন অবস্থায় আপনি পশুর গোবর বিক্রি করেও ভালো আয় করতে পারেন।

• প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর কৃষকরা গোবর গ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে ভালো লাভ পেতে পারে।

কৃষির সাথে কোন প্রাণী পালন করা উচিত?

• গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, উট ইত্যাদি কৃষির পাশাপাশি দুগ্ধ খামারের জন্য পালন করা যায়।

• একই সাথে হাঁস ও মুরগি পালন করা যায় পোল্ট্রি ফার্মের জন্য। তাদের ডিম ছাড়াও মাংসেরও বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

• এ ছাড়া কৃষকরা মৌমাছি পালন এবং রেশম পোকা পালনের মাধ্যমেও ভালো আয় করতে পারে।

আরও পড়ুন:

• কিভাবে জলাতঙ্ক রোগ থেকে প্রাণীদের রক্ষা করা যায় তা জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আমরা আশা করি এই তথ্যটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে। যদি আপনি এই পোস্টে দেওয়া তথ্য পছন্দ করেন, তাহলে এটি লাইক করুন এবং অন্যান্য কৃষকদের সাথে শেয়ার করুন। যাতে অধিক সংখ্যক কৃষক এই তথ্যের সুবিধা নিতে পারে। কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের এই সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। পশুপালন এবং কৃষি সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য গ্রামাঞ্চলের সাথে সংযুক্ত থাকুন।